Bengali বাইবেল
যাকোবের পত্র total 5 অধ্যায়গুলির
যাকোবের পত্র
যাকোবের পত্র অধ্যায় 2
যাকোবের পত্র অধ্যায় 2
1 হে আমার ভ্রাতৃগণ, তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের—প্রতাপের প্রভুর—বিশ্বাস মুখাপেক্ষার সহিত ধারণ করিও না।
2 কেননা যদি তোমাদের সমাজ-গৃহে স্বর্ণময় অঙ্গুরীয়ে ও শুভ্র বস্ত্রে ভূষিত কোন ব্যক্তি আইসে, এবং মলিন বস্ত্র পরিহিত কোন দরিদ্রও আইসে,
3 আর তোমরা সেই শুভ্রবস্ত্র পরিহিত ব্যক্তির মুখ চাহিয়া বল, ‘আপনি এখানে উত্তম স্থানে বসুন,’ কিন্তু সেই দরিদ্রকে যদি বল, ‘তুমি ওখানে দাঁড়াও, কিম্বা আমার পাদপীঠের তলে বস,’
যাকোবের পত্র অধ্যায় 2
4 তাহা হইলে তোমরা কি আপনাদের মধ্যে ভেদাভেদ করিতেছ না, এবং মন্দ বিতর্কে লিপ্ত বিচারকর্ত্তা হইতেছ না?
5 হে আমার প্রিয় ভ্রাতৃগণ, শুন, সংসারে যাহারা দরিদ্র, ঈশ্বর কি তাহাদিগকে মনোনীত করেন নাই, যেন তাহারা বিশ্বাসে ধনবান্ হয়, এবং যাহারা তাঁহাকে প্রেম করে, তাহাদের কাছে অঙ্গীকৃত রাজ্যের অধিকারী হয়?
6 কিন্তু তোমরা সেই দরিদ্রকে অনাদর করিয়াছ। ধনবানেরাই কি তোমাদের প্রতি উপদ্রব করে না? তাহারাই কি তোমাদিগকে টানিয়া বিচার-স্থানে লইয়া যায় না?
যাকোবের পত্র অধ্যায় 2
7 যে উত্তম নাম তোমাদের উপরে কীর্ত্তিত হইয়াছে, তাহারাই কি সেই নামের নিন্দা করে না?
8 যাহা হউক, “তুমি আপন প্রতিবাসীকে আপনার মত প্রেম করিও,” এই শাস্ত্রীয় বচনানুসারে যদি তোমরা রাজকীয় ব্যবস্থা পালন কর, তবে ভাল করিতেছ।
9 কিন্তু যদি মুখাপেক্ষা কর, তবে পাপাচরণ করিতেছ, এবং ব্যবস্থা দ্বারা আজ্ঞালঙ্ঘী বলিয়া দোষীকৃত হইতেছ।
10 কারণ যে কেহ সমস্ত ব্যবস্থা পালন করে, কেবল একটী বিষয়ে উছোট খায়, সে সকলেরই দায়ী হইয়াছে।
যাকোবের পত্র অধ্যায় 2
11 কেননা যিনি বলিয়াছেন, “ব্যভিচার করিও না,” তিনিই আবার বলিয়াছেন, “নরহত্যা করিও না;” ভাল, তুমি যদি ব্যভিচার না করিয়া নরহত্যা কর, তাহা হইলে, ব্যবস্থার লঙ্ঘনকারী হইয়াছ।
12 তোমরা স্বাধীনতার ব্যবস্থা দ্বারা বিচারিত হইবে বলিয়া তদনুরূপ কথা বল ও কার্য্য কর।
13 কেননা যে ব্যক্তি দয়া করে নাই, বিচার তাহার প্রতি নির্দ্দয়; দয়াই বিচারজয়ী হইয়া শ্লাঘা করে।
যাকোবের পত্র অধ্যায় 2
14 হে আমার ভ্রাতৃগণ, যদি কেহ বলে, আমার বিশ্বাস আছে, আর তাহার কর্ম্ম না থাকে, তবে তাহার কি ফল দর্শিবে? সেই বিশ্বাস কি তাহার পরিত্রাণ করিতে পারে?
15 কোন ভ্রাতা কিম্বা ভগিনী বস্ত্রহীন
16 ও দৈবসিক খাদ্যবিহীন হইলে যদি তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি তাহাদিগকে বলে, কুশলে যাও, উষ্ণ ও তৃপ্ত হও, কিন্তু তোমরা তাহাদিগকে শরীরের প্রয়োজনীয় বস্তু না দেও, তবে তাহাতে কি ফল দর্শিবে?
যাকোবের পত্র অধ্যায় 2
17 তদ্রূপ বিশ্বাসও কর্ম্মবিহীন হইলে আপনি একা বলিয়া তাহা মৃত।
18 কিন্তু কেহ বলিবে, তোমার বিশ্বাস আছে, আর আমার কর্ম্ম আছে; তোমার কর্ম্মবিহীন বিশ্বাস আমাকে দেখাও, আর আমি তোমাকে আমার কর্ম্ম হইতে বিশ্বাস দেখাইব।
19 তুমি বিশ্বাস করিতেছ যে, ঈশ্বর এক, ভালই করিতেছ; ভূতেরাও তাহা বিশ্বাস করে, এবং ভয়ে কাঁপে।
20 কিন্তু, হে অসার মনুষ্য, তুমি কি জানিতে চাও যে, কর্ম্মবিহীন বিশ্বাস কোন কাজের নয়?
যাকোবের পত্র অধ্যায় 2
21 আমাদের পিতা অব্রাহাম কর্ম্মহেতু, অর্থাৎ যজ্ঞবেদির উপরে আপন পুত্র ইস্হাককে উৎসর্গকরণ হেতু, কি ধার্ম্মিক গণিত হইলেন না?
22 তুমি দেখিতেছ, বিশ্বাস তাঁহার ক্রিয়ার সহকারী ছিল, এবং কর্ম্মহেতু বিশ্বাস সিদ্ধ হইল;
23 তাহাতে এই শাস্ত্রীয় বচন পূর্ণ হইল, “অব্রাহাম ঈশ্বরে বিশ্বাস করিলেন, এবং তাহা তাঁহার পক্ষে ধার্ম্মিকতা বলিয়া গণিত হইল,” আর তিনি “ঈশ্বরের বন্ধু” এই নাম পাইলেন।
যাকোবের পত্র অধ্যায় 2
24 তোমরা দেখিতেছ, কর্ম্মহেতু মনুষ্য ধার্ম্মিক গণিত হয়, সুধু বিশ্বাসহেতু নয়।
25 আবার রাহব বেশ্যাও কি সেই প্রকারে কর্ম্মহেতু ধার্ম্মিক গণিতা হইল না? সে ত দূতগণকে অতিথি করিয়াছিল, এবং অন্য পথ দিয়া বাহিরে পাঠাইয়া দিয়াছিল।
26 বাস্তবিক যেমন আত্মাবিহীন দেহ মৃত, তেমনি কর্ম্মবিহীন বিশ্বাসও মৃত।