Bengali বাইবেল

ইসাইয়া total 66 অধ্যায়গুলির

ইসাইয়া

ইসাইয়া অধ্যায় 29
ইসাইয়া অধ্যায় 29

1 অহো, অরীয়েল, অরীয়েল, দায়ূদের শিবিরনগর। তোমরা এক বৎসরে অন্য বৎসর যোগ কর, উৎসবচক্র ঘুরিয়া আইসুক।

2 কিন্তু আমি অরীয়েলের প্রতি দুঃখ ঘটাইব, তাহাতে শোক ও বিলাপ হইবে; আর সে আমার পক্ষে অরীয়েলের ন্যায় হইবে।

3 আমি তোমার চারিদিকে শিবির স্থাপন করিব, ও গড় দ্বারা তোমাকে বেষ্টন করিব, এবং তোমার বিরুদ্ধে অবরোধ-জাঙ্গাল নির্ম্মাণ করিব; তাহাতে তুমি অবনত হইবে,

ইসাইয়া অধ্যায় 29

4 মৃত্তিকা হইতে কথা কহিবে, ও ধূলা হইতে মৃদুস্বরে তোমার কথা বলিবে; ভূতুড়িয়ার ন্যায় তোমার রব মৃত্তিকা হইতে নির্গত হইবে, ও ধূলা হইতে তোমার কথার ফুস্‌ফুস্‌ শব্দ উঠিবে।

5 কিন্তু তোমার শত্রুদের লোকারণ্য সূক্ষ্ম ধূলার ন্যায় হইবে, এবং দুর্দ্দান্তদের লোকারণ্য উড়ন্ত ভুসীর ন্যায় হইবে; ইহা হঠাৎ, মুহূর্ত্তমধ্যে ঘটিবে।

6 বাহিনীগণের সদাপ্রভু মেঘগর্জ্জন, ভূমিকম্প, মহাশব্দ, ঘূর্ণবায়ু, ঝঞ্ঝা ও সর্ব্বগ্রাসক অগ্নিশিখা সহকারে তাহার তত্ত্ব লইবেন।

ইসাইয়া অধ্যায় 29

7 তাহাতে সর্ব্বজাতির যে লোকারণ্য অরীয়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, যে সকল লোক তাহার ও তদীয় দুর্গের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, ও তাহাকে সঙ্কটাপন্ন করে, তাহারা স্বপ্নবৎ ও রাত্রিকালীন দর্শনের ন্যায় হইবে;

8 এইরূপ হইবে, যেমন ক্ষুধিত ব্যক্তি স্বপ্ন দেখে, যেন সে ভোজন করিতেছে; কিন্তু সে জাগ্রৎ হয়, আর তাহার প্রাণ শূন্য; অথবা যেমন পিপাসিত ব্যক্তি স্বপ্ন দেখে, যেন সে পান করিতেছে; কিন্তু সে জাগ্রৎ হয়, আর দেখ, সে দুর্ব্বল, তাহার প্রাণে পিপাসা রহিয়াছে; সিয়োন পর্ব্বতের বিরুদ্ধে যুদ্ধকারী সর্ব্বজাতির লোকারণ্য তেমনি হইবে।

ইসাইয়া অধ্যায় 29

9 তোমরা চমৎকৃত হও ও আশ্চর্য্য জ্ঞান কর, চক্ষু মুদ ও অন্ধ হও; উহারা মত্ত, কিন্তু দ্রাক্ষারসে নয়; উহারা টলটলায়মান, কিন্তু সুরাপানে নয়।

10 কারণ সদাপ্রভু তোমাদের উপরে ঘোর নিদ্রাজনক আত্মা ঢালিয়া দিয়াছেন, ও তোমাদের ভাববাদিবর্গরূপ চক্ষু মুদ্রিত করিয়াছেন, এবং তোমাদের দর্শকবর্গরূপ মস্তক ঢাকিয়া রাখিয়াছেন।

11 সমস্ত দর্শন তোমাদের পক্ষে মুদ্রাঙ্কবদ্ধ পুস্তকের কথাস্বরূপ হইয়াছে; যে লেখা পড়া জানে, তাহাকে কেহ যদি সেই পুস্তক দিয়া যদি বলে, অনুগ্রহ করিয়া ইহা পাঠ কর, তবে সে উত্তর করিবে, আমি পারি না, কারণ ইহা মুদ্রাঙ্কবদ্ধ।

ইসাইয়া অধ্যায় 29

12 আবার যে লেখা পড়া জানে না, তাহাকে যদি সে তাহা দিয়া বলে, অনুগ্রহ করিয়া ইহা পাঠ কর, তবে সে উত্তর করিবে আমি লেখা পড়া জানি না।

13 প্রভু আরও কহিলেন, এই লোকেরা আমার নিকটবর্ত্তী হয়, এবং আপন আপন মুখে ও ওষ্ঠাধরে আমার সম্মান করে, কিন্তু আপন আপন অন্তঃকরণ আমা হইতে দূরে রাখিয়াছে, এবং আমা হইতে তাহাদের যে ভয়, তাহাও মানুষের আদেশ, মুখস্থ করা মাত্র।

14 অতএব দেখ, আমি এই জাতির সহিত পুনর্ব্বার আশ্চর্য্য ব্যবহার, এমন কি, আশ্চর্য্য ও চমৎকার ব্যবহার করিব; এবং তাহাদের জ্ঞানবানদের জ্ঞান বিনষ্ট, ও বিবেচক লোকেদর বিবেচনা অন্তর্হিত হইবে।

ইসাইয়া অধ্যায় 29

15 ধিক্‌ তাহাদিগকে, যাহারা গভীর মন্ত্রণা করতঃ সদাপ্রভু হইতে তাহা গুপ্ত রাখিতে চেষ্টা করে, অন্ধকারে কর্ম্ম করে ও বলে, আমাদিগকে কে দেখিতে পায়? আমাদিগকে কে চিনিতে পারে?

16 তোমাদের কেমন বিপরীত বুদ্ধি! কুম্ভকার কি মৃত্তিকার সমান বলিয়া গণ্য? নির্ম্মিত বস্তু কি নির্ম্মাতার বিষয়ে বলিবে, ঐ ব্যক্তি আমাকে নির্ম্মাণ করে নাই? গঠিত বস্তু কি আপন গঠনকারীর বিষয়ে বলিবে, উহার বুদ্ধি নাই?

ইসাইয়া অধ্যায় 29

17 অতি অল্পকাল গত হইলে লিবানোন কি উদ্যানে পরিণত হইবে না? আর উদ্যান কি অরণ্য বলিয়া গণ্য হইবে না?

18 সেই দিন বধিরগণ পুস্তকের বাক্য শুনিবে, এবং তিমির ও অন্ধকারের মধ্য হইতে অন্ধদের চক্ষু দেখিতে পাইবে।

19 নম্রগণও সদাপ্রভুতে উত্তরোত্তর আনন্দিত হইবে, এবং মনুষ্যদের মধ্যবর্ত্তী দরিদ্রগণ ইস্রায়েলের পবিত্রতমে উল্লাস করিবে।

20 কেননা দুর্দ্দান্ত লোক আর নাই, নিন্দক লুপ্ত হইল, যে সকল লোক অধর্ম্মে উৎসুক, তাহারা উচ্ছিন্ন হইল।

ইসাইয়া অধ্যায় 29

21 তাহারা ত বাক্‌কৌশলে মানুষকে দোষী করে, নগর-দ্বারে দোষবক্তার জন্য ফাঁদ পাতে, অকারণে ধার্ম্মিকের প্রতি অন্যায় করে।

22 অতএব অব্রাহামের মুক্তিদাতা সদাপ্রভু যাকোবকুলের বিষয়ে এই কথা কহেন, যাকোব এখন লজ্জিত হইবে না, তাহার মুখ এখন মলিন থাকিবে না।

23 কেননা তাহার সন্তানগণ যখন তাহার মধ্যে আমার হস্তকৃত কর্ম্ম দেখিবে, তখন আমার নাম পবিত্র বলিয়া মানিবে, যাকোবের পবিত্রতমকে পবিত্র বলিয়া মানিবে, ইস্রায়েলের ঈশ্বরকে সম্ভ্রম করিবে।

ইসাইয়া অধ্যায় 29

24 আর ভ্রান্ত-আত্মা লোকেরা বিবেচনার কথা বুঝিবে, বচসা কারীরা পাণ্ডিত্য শিখিবে।