Bengali বাইবেল

যাত্রাপুস্তক total 40 অধ্যায়গুলির

যাত্রাপুস্তক

যাত্রাপুস্তক অধ্যায় 29
যাত্রাপুস্তক অধ্যায় 29

1 আর আমার যাজন কর্ম্ম করণার্থে তাহাদিগকে পবিত্র করিবার জন্য তুমি তাহাদের প্রতি এই সকল কর্ম্ম করিবে; নির্দ্দোষ একটী পুংগোবৎস ও দুইটী মেষ লইবে;

2 আর তাড়ীশূন্য রুটী, তৈলমিশ্রিত তাড়ীশূন্য পিষ্টক ও তৈলাক্ত তাড়ীশূন্য সরুচাকলী গোমের ময়দা দ্বারা প্রস্তুত করিবে;

3 এবং সেইগুলি এক ডালিতে রাখিবে, আর সেই ডালিতে করিয়া আনিবে, এবং ঐ গোবৎস ও দুই মেষ আনিবে।

যাত্রাপুস্তক অধ্যায় 29

4 আর হারোণকে ও তাহার পুত্রগণকে সমাগম-তাম্বুর দ্বার-সমীপে আনিয়া জলে স্নান করাইবে।

5 আর সেই সকল বস্ত্র লইয়া হারোণকে অঙ্গরক্ষিণী, এফোদের পরিচ্ছদ, এফোদ ও বুকপাটা পরাইবে, এবং এফোদের বুনানি করা পটুকা তাহাতে আবদ্ধ করিবে।

6 আর তাহার মস্তকে উষ্ণীষ দিবে, ও উষ্ণীষের উপরে পবিত্র মুকুট দিবে।

7 পরে অভিষেকার্থ তৈল লইয়া তাহার মস্তকের উপরে ঢালিয়া তাহাকে অভিষিক্ত করিবে।

যাত্রাপুস্তক অধ্যায় 29

8 আর তুমি তাহার পুত্রগণকে আনিয়া অঙ্গরক্ষক বস্ত্র পরাইবে।

9 আর হারোণকে ও তাহার পুত্রগণকে কটিবন্ধন পরাইবে, ও তাহাদের মস্তকে শিরোভূষণ বাঁধিয়া দিবে; তাহাতে যাজকত্বপদে তাহাদের চিরস্থায়ী অধিকার থাকিবে। আর তুমি হারোণের ও তাহার পুত্রগণের হস্তপূরণ করিবে।

10 পরে তুমি সমাগম-তাম্বুর সম্মুখে সেই গোবৎসকে আনাইবে, এবং হারোণ ও তাহার পুত্রগণ গোবৎসটীর মস্তকে হস্তার্পণ করিবে।

যাত্রাপুস্তক অধ্যায় 29

11 তখন তুমি সমাগম-তাম্বুর দ্বারসমীপে সদাপ্রভুর সম্মুখে ঐ গোবৎস হনন করিবে।

12 পরে গোবৎসের কিঞ্চিৎ রক্ত লইয়া অঙ্গুলি দ্বারা বেদির শৃঙ্গের উপরে দিবে, এবং বেদির মূলে সমস্ত রক্ত ঢালিয়া দিবে।

13 আর তাহার অন্ত্রের উপরিস্থিত সমস্ত মেদ ও যকৃতের উপরিস্থ অন্ত্রাপ্লাবক ও দুই মেটিয়া ও তদুপরিস্থ মেদ লইয়া বেদিতে দগ্ধ করিবে।

14 কিন্তু গোবৎসটীর মাংস ও তাহার চর্ম্ম ও গোময় শিবিরের বাহিরে অগ্নিতে পোড়াইয়া দিবে; তাহা পাপার্থক বলি।

যাত্রাপুস্তক অধ্যায় 29

15 পরে তুমি প্রথম মেষটী আনিবে, এবং হারোণ ও তাহার পুত্রগণ সেই মেষের মস্তকে হস্তার্পণ করিবে।

16 পরে তুমি সেই মেষ হনন করিয়া তাহার রক্ত লইয়া বেদির উপরে চারিদিকে ছিটাইয়া দিবে।

17 পরে তুমি মেষটী খণ্ড খণ্ড করিবে, তাহার অন্ত্র ও পদ ধৌত করিবে, আর ঐ খণ্ড সকলের ও মস্তকের উপরে রাখিবে।

18 পরে সমস্ত মেষটী বেদিতে দগ্ধ করিবে; তাহা সদাপ্রভুর উদ্দেশে হোমবলি, সদাপ্রভুর উদ্দেশে সৌরভার্থক অগ্নিকৃত উপহার।

যাত্রাপুস্তক অধ্যায় 29

19 পরে তুমি দ্বিতীয় মেষটী লইবে, এবং হারোণ ও তাহার পুত্রগণ ঐ মেষের মস্তকে হস্তার্পণ করিবে।

20 পরে তুমি সেই মেষ হনন করিয়া তাহার কিঞ্চিৎ রক্ত লইয়া হারোণের দক্ষিণ কর্ণের প্রান্তে ও তাহার পুত্রগণের দক্ষিণ কর্ণের প্রান্তে ও তাহাদের দক্ষিণ হস্তের অঙ্গুষ্ঠের উপরে ও দক্ষিণ পদের অঙ্গুষ্ঠের উপরে দিবে, এবং বেদির উপরে চারিদিকে রক্ত ছিটাইয়া দিবে।

21 পরে বেদির উপরিস্থিত রক্তের ও অভিষেকার্থ তৈলের কিঞ্চিৎ লইয়া হারোণের উপরে ও তাহার বস্ত্রের উপরে এবং তাহার সহিত তাহার পুত্রদের উপরে ও তাহাদের বস্ত্রের উপরে ছিটাইয়া দিবে; তাহাতে সে ও তাহার বস্ত্র এবং তাহার সহিত তাহার পুত্রগণ ও তাহাদের বস্ত্র পবিত্র হইবে।

যাত্রাপুস্তক অধ্যায় 29

22 পরে তুমি সেই মেষের মেদ, লাঙ্গুল ও অন্ত্রের উপরিস্থ মেদ ও যকৃতের উপরিস্থ অন্ত্রাপ্লাবক ও দুই মেটিয়া ও তদুপরিস্থ মেদ ও দক্ষিণ জঙ্ঘা লইবে, কেননা সে হস্তপূরণার্থক মেষ।

23 পরে তুমি সদাপ্রভুর সম্মুখস্থিত তাড়ীশূন্য রুটীর ডালি হইতে এক রুটী ও তৈলমিশ্রিত এক পিষ্টক ও এক সরুচাকলী লইবে;

24 এবং হারোণের হস্তে ও তাহার পুত্রগণের হস্তে তৎসমুদয় দিয়া দোলনীয় উপহারার্থে সদাপ্রভুর সম্মুখে তাহা দোলাইবে।

যাত্রাপুস্তক অধ্যায় 29

25 পরে তুমি তাহাদের হস্ত হইতে তাহা লইয়া সদাপ্রভুর সম্মুখে সৌরভার্থে বেদিতে হোমার্থক বলির উপরে দগ্ধ করিবে; তাহা সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার।

26 পরে তুমি হারোণের হস্তপূরণার্থক মেষের বক্ষঃস্থল লইয়া দোলনীয় উপহারার্থে সদাপ্রভুর সম্মুখে দোলাইবে; তাহা তোমার অংশ হইবে।

27 পরে হারোণের ও তাহার পুত্রগণের হস্তপূরণার্থক মেষের যে দোলনীয় উপহার বক্ষঃস্থল দোলায়িত ও যে, উত্তোলনীয় উপহার জঙ্ঘা উত্তোলিত হইল, তাহা তুমি পবিত্র করিবে।

যাত্রাপুস্তক অধ্যায় 29

28 তাহাতে ইস্রায়েল-সন্তানগণ হইতে তাহা হারোণের ও তাহার সন্তানগণের চিরস্থায়ী অধিকার হইবে, কেননা তাহাই উত্তোলনীয় উপহার; ইস্রায়েল-সন্তানগণের এই উত্তোলনীয় উপহার তাহাদের মঙ্গলার্থক বলি হইতে দেয়; ইহা সদাপ্রভুর উদ্দেশে তাহাদের উত্তোলনীয় উপহার।

29 আর হারোণের পরে তাহার পবিত্র বস্ত্র সকল তাহার পুত্রগণের হইবে; অভিষেক ও হস্তপূরণ সময়ে তাহারা তাহা পরিধান করিবে।

যাত্রাপুস্তক অধ্যায় 29

30 তাহার পুত্রদের মধ্যে যে তাহার পদে যাজক হইয়া পবিত্র স্থানে পরিচর্য্যা করিতে সমাগম-তাম্বুতে প্রবেশ করিবে, সে সেই বস্ত্র সাত দিন পরিবে।

31 পরে তুমি সেই হস্তপূরণার্থক মেষের মাংস লইয়া কোন পবিত্র স্থানে পাক করিবে,

32 এবং হারোণ ও তাহার পুত্রগণ সমাগম-তাম্বুর দ্বারে সেই মেষমাংস ও ডালিতে স্থিত সেই রুটী ভোজন করিবে।

33 আর হস্তপূরণ দ্বারা তাহাদিগকে পবিত্র করণার্থে যাহা দিয়া প্রায়শ্চিত্ত করা হইল, তাহা তাহারা ভোজন করিবে; কিন্তু অপর কোন লোক তাহা ভোজন করিবে না, কারণ সে সকল পবিত্র বস্তু।

যাত্রাপুস্তক অধ্যায় 29

34 আর ঐ হস্তপূরণার্থক মাংস ও রুটী হইতে যদি প্রাতঃকাল পর্য্যন্ত কিছু অবশিষ্ট থাকে, তবে সেই অবশিষ্ট অংশ অগ্নিতে পোড়াইয়া দিবে; কেহ তাহা ভোজন করিবে না, কারণ তাহা পবিত্র বস্তু।

35 আমি তোমাকে এই যে সকল আজ্ঞা করিলাম, তদনুসারে হারোণের প্রতি ও তাহার পুত্রগণের প্রতি করিবে; সাত দিন তাহাদের হস্তপূরণ করিবে।

36 আর তুমি প্রায়শ্চিত্তের জন্য প্রতিদিন পাপার্থক বলিরূপে এক একটী পুংগোবৎস উৎসর্গ করিবে, এবং প্রায়শ্চিত্ত করিয়া বেদিকে মুক্ত-পাপ করিবে, আর তাহা পবিত্র করণার্থে অভিষেক করিবে।

যাত্রাপুস্তক অধ্যায় 29

37 তুমি বেদির নিমিত্তে সাত দিন প্রায়শ্চিত্ত করিয়া তাহা পবিত্র করিবে; তাহাতে বেদি অতি পবিত্র হইবে; যে কেহ বেদি স্পর্শ করে, তাহার পবিত্র হওয়া চাই।

38 সেই বেদির উপরে তুমি এই বলি উৎসর্গ করিবে;

39 নিয়ত প্রতিদিন একবর্ষীয় দুইটী মেষশাবক; একটী মেষশাবক প্রাতঃকালে উৎসর্গ করিবে, ও অন্যটী সন্ধ্যাকালে উৎসর্গ করিবে।

40 আর প্রথম মেষশাবকের সহিত উখলিতে প্রস্তুত হিন পাত্রের চতুর্থাংশ তৈলে মিশ্রিত *ঐফা পাত্রের দশমাংশ ময়দা, এবং পেয় নৈবেদ্যের কারণ হিনের চতুর্থাংশ দ্রাক্ষারস দিবে।

যাত্রাপুস্তক অধ্যায় 29

41 পরে দ্বিতীয় মেষশাবকটী সন্ধ্যাকালে উৎসর্গ করিবে, এবং প্রাতঃকালের মতানুসারে ভক্ষ্য ও পেয় নৈবেদ্যের সহিত তাহাও সদাপ্রভুর উদ্দেশে সৌরভার্থক অগ্নিকৃত উপহার বলিয়া উৎসর্গ করিবে।

42 ইহা তোমাদের পুরুষানুক্রমে নিয়ত *কর্ত্তব্য হোম; সমাগম-তাম্বুর দ্বারসমীপে সদাপ্রভুর সম্মুখে, যে স্থানে আমি তোমার সহিত আলাপ করিতে তোমাদের কাছে দেখা দিব, সেই স্থানে ইহা কর্ত্তব্য

যাত্রাপুস্তক অধ্যায় 29

43 সেখানে আমি ইস্রায়েল-সন্তানগণের কাছে দেখা দিব, এবং আমার প্রতাপে তাম্বু পবিত্রীকৃত হইবে।

44 আর আমি সদামগ-তাম্বু ও বেদি পবিত্র করিব, এবং আমার যাজনকর্ম্ম করণার্থে হারোণকে ও তাহার পুত্রগণকে পবিত্র করিব।

45 আর আমি ইস্রায়েল-সন্তানগণের মধ্যে বাস করিব, ও তাহাদের ঈশ্বর হইব।

46 তাহাতে তাহারা জানিবে যে, আমি সদাপ্রভু, তাহাদের ঈশ্বর, আমি তাহাদের মধ্যে বাস করণার্থে মিসর দেশ হইতে তাহাদিগকে বাহির করিয়া আনিয়াছি; আমিই সদাপ্রভু, তাহাদের ঈশ্বর।

যাত্রাপুস্তক অধ্যায় 29