পবিত্র বাইবেল

ইন্ডিয়ান রিভাইজড ভার্সন (ISV)
উপদেশক

উপদেশক অধ্যায় 1

1 {বইটির সারাংশ। } এই হল উপদেশকের কথা, দায়ূদের বংশধর এবং যিনি যিরুশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। 2 উপদেশক এই কথা বলেছেন, “কুয়াশার বাষ্পের মত, বাতাসে মিশে থাকা জল কণার মত, সব কিছুই উবে যায়, অনেক প্রশ্ন রেখে। 3 সূর্য্যের নিচে* পৃথিবীর ওপরে মানুষ সমস্ত কাজের জন্য যে পরিশ্রম করে, তাতে তার কি লাভ হয়? 4 এক প্রজন্ম যায় এবং আর এক প্রজন্ম আসে, কিন্তু পৃথিবী চিরকাল থেকে যায়। 5 সূর্য্য ওঠে ও অস্ত যায় এবং তাড়াতাড়ি সেই জায়গায় ফিরে আসে যেখান থেকে সে আবার উঠবে। 6 বাতাস দক্ষিণে বয় এবং ঘুরে উত্তরে যায়, সবদিন তার পথে ঘুরতে ঘুরতে যায় এবং আবার ফিরে আসে। 7 সব নদী সমুদ্রে গিয়ে পড়ে, কিন্তু সমুদ্র কখনও পূর্ণ হয় না। সেই জায়গায় যেখানে নদীরা যায়, সেখানে তারা আবার ফিরে যায়। 8 সব কিছুই ক্লান্তিকর হয়ে উঠে এবং কেউ তার ব্যাখ্যা করতে পারে না। চোখ যা দেখে তাতে সে তৃপ্ত নয়, না কান শুনে তাতে পূর্ণ হয়। 9 যা কিছু হয়েছে সেটাই হবে এবং যা কিছু করা হয়েছে তাই করা হবে। সূর্য্যের নিচে কোন কিছুই নতুন নয়। 10 এরকম কি কিছু আছে যার বিষয়ে বলা যেতে পারে, ‘দেখ, এটা নতুন?’ যা কিছুর অস্তিত্ব আছে যা অনেক আগে থেকেই ছিল, যুগ যুগ ধরে, যা আমাদের আসার অনেক আগেই এসেছিল। 11 প্রাচীনকালে কি হয়েছিল তা হয়ত কারোরই মনে নেই এবং সেই সব বিষয়ে যা ঘটেছে অনেক পরে আর যা কিছু ঘটবে ভবিষ্যতে সেগুলোর কোনটাই মনে রাখা হবে না।” {প্রজ্ঞা অর্থহীন হচ্ছে। } 12 আমি উপদেশক এবং আমি ইস্রায়েলের যিরুশালেমের ওপর রাজা ছিলাম। 13 যা কিছু আকাশের নিচে হয়েছে তা আমি আমার মনকে ব্যবহার করেছি জ্ঞান দিয়ে শিখতে এবং সবকিছু খুঁজে বার করতে। ঐ খোঁজ হল খুব কষ্টকর কাজ যা ঈশ্বর মানুষের সন্তানদের দিয়েছেন এটার সঙ্গে ব্যস্ত থাকার জন্য। 14 আমি সমস্ত কাজ দেখেছি যা সূর্য্যের নিচে করা হয়েছে এবং দেখ, তাদের সমস্তই অসার এবং বাতাসকে পরিবর্তন বাতাস কে খাওয়ার করার চেষ্টা। 15 যা বাঁকা তা সোজা করা যায় না! যা নেই তা গণনা করা যায় না! 16 আমি আমার হৃদয়ের সাথে কথা বলেছি, “দেখ, আমার আগে যারা সকলে যিরুশালেমে ছিল তাদের থেকে আমি বেশি জ্ঞান অর্জন করেছি। আমার মন মহান প্রজ্ঞা এবং জ্ঞান দেখেছে।” 17 তাই আমি আমার হৃদয় প্রজ্ঞা জানার জন্য ব্যবহার করেছি এবং একইসঙ্গে মত্ততা আর মূর্খতা জানার জন্য। আমি বুঝতে পারলাম যে এটাও বাতাসকে পরিচালনা করার মত ছিল। 18 কারণ যেখানে প্রচুর জ্ঞান থাকে সেখানে অনেক হতাশাও থাকে এবং সে যে জ্ঞান বৃদ্ধি করে, সে দুঃখও বাড়ায়।
1. {বইটির সারাংশ। } এই হল উপদেশকের কথা, দায়ূদের বংশধর এবং যিনি যিরুশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। 2. উপদেশক এই কথা বলেছেন, “কুয়াশার বাষ্পের মত, বাতাসে মিশে থাকা জল কণার মত, সব কিছুই উবে যায়, অনেক প্রশ্ন রেখে। 3. সূর্য্যের নিচে[* পৃথিবীর ওপরে ] মানুষ সমস্ত কাজের জন্য যে পরিশ্রম করে, তাতে তার কি লাভ হয়? 4. এক প্রজন্ম যায় এবং আর এক প্রজন্ম আসে, কিন্তু পৃথিবী চিরকাল থেকে যায়। 5. সূর্য্য ওঠে ও অস্ত যায় এবং তাড়াতাড়ি সেই জায়গায় ফিরে আসে যেখান থেকে সে আবার উঠবে। 6. বাতাস দক্ষিণে বয় এবং ঘুরে উত্তরে যায়, সবদিন তার পথে ঘুরতে ঘুরতে যায় এবং আবার ফিরে আসে। 7. সব নদী সমুদ্রে গিয়ে পড়ে, কিন্তু সমুদ্র কখনও পূর্ণ হয় না। সেই জায়গায় যেখানে নদীরা যায়, সেখানে তারা আবার ফিরে যায়। 8. সব কিছুই ক্লান্তিকর হয়ে উঠে এবং কেউ তার ব্যাখ্যা করতে পারে না। চোখ যা দেখে তাতে সে তৃপ্ত নয়, না কান শুনে তাতে পূর্ণ হয়। 9. যা কিছু হয়েছে সেটাই হবে এবং যা কিছু করা হয়েছে তাই করা হবে। সূর্য্যের নিচে কোন কিছুই নতুন নয়। 10. এরকম কি কিছু আছে যার বিষয়ে বলা যেতে পারে, ‘দেখ, এটা নতুন?’ যা কিছুর অস্তিত্ব আছে যা অনেক আগে থেকেই ছিল, যুগ যুগ ধরে, যা আমাদের আসার অনেক আগেই এসেছিল। 11. প্রাচীনকালে কি হয়েছিল তা হয়ত কারোরই মনে নেই এবং সেই সব বিষয়ে যা ঘটেছে অনেক পরে আর যা কিছু ঘটবে ভবিষ্যতে সেগুলোর কোনটাই মনে রাখা হবে না।” {প্রজ্ঞা অর্থহীন হচ্ছে। } 12. আমি উপদেশক এবং আমি ইস্রায়েলের যিরুশালেমের ওপর রাজা ছিলাম। 13. যা কিছু আকাশের নিচে হয়েছে তা আমি আমার মনকে ব্যবহার করেছি জ্ঞান দিয়ে শিখতে এবং সবকিছু খুঁজে বার করতে। ঐ খোঁজ হল খুব কষ্টকর কাজ যা ঈশ্বর মানুষের সন্তানদের দিয়েছেন এটার সঙ্গে ব্যস্ত থাকার জন্য। 14. আমি সমস্ত কাজ দেখেছি যা সূর্য্যের নিচে করা হয়েছে এবং দেখ, তাদের সমস্তই অসার এবং বাতাসকে পরিবর্তন[† বাতাস কে খাওয়ার ] করার চেষ্টা। 15. যা বাঁকা তা সোজা করা যায় না! যা নেই তা গণনা করা যায় না! 16. আমি আমার হৃদয়ের সাথে কথা বলেছি, “দেখ, আমার আগে যারা সকলে যিরুশালেমে ছিল তাদের থেকে আমি বেশি জ্ঞান অর্জন করেছি। আমার মন মহান প্রজ্ঞা এবং জ্ঞান দেখেছে।” 17. তাই আমি আমার হৃদয় প্রজ্ঞা জানার জন্য ব্যবহার করেছি এবং একইসঙ্গে মত্ততা আর মূর্খতা জানার জন্য। আমি বুঝতে পারলাম যে এটাও বাতাসকে পরিচালনা করার মত ছিল। 18. কারণ যেখানে প্রচুর জ্ঞান থাকে সেখানে অনেক হতাশাও থাকে এবং সে যে জ্ঞান বৃদ্ধি করে, সে দুঃখও বাড়ায়।
  • উপদেশক অধ্যায় 1  
  • উপদেশক অধ্যায় 2  
  • উপদেশক অধ্যায় 3  
  • উপদেশক অধ্যায় 4  
  • উপদেশক অধ্যায় 5  
  • উপদেশক অধ্যায় 6  
  • উপদেশক অধ্যায় 7  
  • উপদেশক অধ্যায় 8  
  • উপদেশক অধ্যায় 9  
  • উপদেশক অধ্যায় 10  
  • উপদেশক অধ্যায় 11  
  • উপদেশক অধ্যায় 12  
×

Alert

×

Bengali Letters Keypad References